1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ইরাক ও চীনের সমঝোতা চুক্তিতে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১
  • ২০৬ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: সম্প্রতি ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত সমঝোতার চুক্তি বাস্তবায়ন অবশেষে শুরু হয়েছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি থাকাকালে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিতে ইরাক তেল রপ্তানি করবে চীনে এবং বিনিময়ে চীন ইরাকের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

চীন ও ইরাক উভয় দেশের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তি। বিশেষ করে তা চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্যই চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো, বিশেষ করে আমেরিকা বাগদাদ-বেইজিং চুক্তি যাতে বাস্তবায়ন করা না হয়, সেজন্য অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

যেসব কারণে ২০১৯ সালে আদেল আবদুল মাহদির সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন উসকে দেওয়া হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তার সরকারের পতনও ঘটেছিল সেসবের অন্যতম ছিল এই বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর।

অন্য দেশগুলোতে পুঁজি বিনিয়োগের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে চীনের। তাই পশ্চিম এশিয়ার ইরান ও ইরাকসহ বিশ্বের বেশির ভাগ অঞ্চলেই রয়েছে চীনের উপস্থিতি। পশ্চিম এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের সঙ্গেই চীনের নানা ধরনের সুসম্পর্ক বেড়েই চলেছে এবং এইসব দেশ চীনা বিনিয়োগকে খুবই খুশি মনে স্বাগত জানাচ্ছে।

ইরাক এখন জ্বালানি তেল-রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক। গত মে মাসে ইরাক দৈনিক ৩০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করেছে। তাই ইরাকের জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করাটা চীনের জন্য খুবই লাভজনক ও জরুরি। চীনা কোম্পানিগুলো এখন ইরাকের জ্বালানি বাজারে ব্যাপক মাত্রায় বিনিয়োগ করেছে।

ইরাকের তেল রফতানির ৪৪ শতাংশই যায় চীনে। তাই চীন ইরাকের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য শরিক। দৈনিক ৮ লাখ ব্যারেল ইরাকি তেল আমদানি করছে চীন। ইরাক সরকার মনে করে চীনা বিনিয়োগের সুবাদে দেশটির অর্থনৈতিক নানা সমস্যা সমাধান করা যাবে এবং দেশটির অবকাঠামোরও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে চীনের মাধ্যমে।

চলতি বছরের ইরাকি বাজেট অনুযায়ী চীনা কোম্পানিগুলো ইরাকে ১ হাজার স্কুল নির্মাণ করবে এবং ইরাকের কয়েকটি প্রদেশে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট কয়েকটি হাসপাতালও নির্মাণ করবে। এ ছাড়া চীন ইরাকের মিইসান প্রদেশে ৪ হাজার আবাসিক ভবন তৈরি করবে এবং অর্ধসমাপ্ত কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের কাজও সুসম্পন্ন করবে।

ইরাককে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের শরিক করাই চীনের লক্ষ্য। ইরাক চীনের সহায়তায় তার বেশ কয়েকটি বন্দরের উন্নয়ন এবং এসব বন্দরগামী সড়ক ও রেলপথ সংস্কার করতে আগ্রহী।

অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইরাকের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বও চীনের কাছে অপরিসীম। ইরাকে চীনের উপস্থিতির ফলে এ অঞ্চলের চীনের প্রভাব অনেক বেড়ে যাবে।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..